নারায়ণগঞ্জে বিএনপি-জামায়াতের ঘোষিত হরতালে মিছিল থেকে একটি বাসে ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ ও অপর একটি বাস ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ৷
রবিবার( ২৯ অক্টোবর) বেল পৌনে ১১টার দিকে শহরের নবাব সলিমুল্লাহ সড়কের মিশনপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে
সদর মডেল থানার ওসি আনিচুর রহমান মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিশনপাড়া এলাকায় বিএনপির মিছিল থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে চলাচল করা উৎসব ট্রান্সপোর্টের বাসে ভাঙচুর চালানো হয়৷ পরে বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়৷
এদিকে একই জায়গায় বন্ধু পরিবহনের আরেক বাস ভাঙচুর করা হয়৷ তবে উভয়ই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি৷
উৎসব ট্রান্সপোর্ট লিমিটেডের বাসটির চালক মো. নিয়াজুল সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাসটিতে কয়েকজন যাত্রী ছিলেন৷ বাসটি নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডের দিকে যাচ্ছিল৷ এমন সময় একটি মিছিল থেকে লোকজন বাসটিকে থামিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে ভাঙচুর করে৷ পরে বাসটিতে আগুন জ্বালিয়ে দিলে ছয়টি সিট পুড়ে যায়৷
বাস চালক আরও বলেন, “স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় পানি দিয়ে আগুন নেভানো হয়৷ বাসটির যাত্রীরা আগেই নেমে যাওয়ায় কেউ আহত হননি’৷
এদিকে বাসে আগুন দেওয়া ও ভাঙচুরে বিএনপি সমর্থিত কেউ জড়িত নয় বলে দাবি করেন মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুর।
তিনি বলেন, “হরতালের সমর্থনে বিএনপির মিছিল থেকে বাস চলাচল বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়৷ তাদের মিছিল শেষে অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীরা বাসটিতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দেয়৷”
ওসি আনিচুর রহমান মোল্লা বলেন, “সকাল থেকে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি স্থানে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে বিএনপি ও হরতাল সমর্থনকারীরা৷ কয়েকটি জায়গায় পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে গিয়ে সরিয়ে দেয়৷
তিনি আরও বলেন, “এর মধ্যেই হরতাল সমর্থনে একটি মিছিল থেকে একটি বাস ভাঙচুর এবং আরেকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যাবার আগেই তারা পালিয়ে যায়৷”
